ধূলিমলিন উপহার রামাদান



Note: If you encounter any issues while opening the Download PDF button, please utilize the online read button to access the complete book page.
Size | 23 MB (23,082 KB) |
---|---|
Format | |
Downloaded | 612 times |
Status | Available |
Last checked | 10 Hour ago! |
Author | শাইখ আহমাদ মুসা জিবরিল |
“Book Descriptions: ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর্দ্রতা অস্বাভাবিকরকম বেশি।
মানুষে ঠাসা ঢাকার ব্যস্ত দুপুর। লোকাল বাসে ঘাম চটচটে গায়ে দাঁড়িয়ে আছে টিউশনি করাতে যাওয়া কোনো এক ছাত্র। ইঞ্জিনের গরমে কয়লা হয়ে পাথরের মতো বসে আছে ড্রাইভার। পাশের সি এন জি তে ছটফট করছে গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাওয়া একটা বাচ্চা। ‘পানি! পানি! ঠান্ডা পানি!’- বলে চিৎকার করা ছেলেটার বোতলের গায়ে ঘাম বেশি না ছেলেটার গায়ে,বলা দুষ্কর।
একটু বাতাসের আশায় কোনো এক ওভারব্রিজের ওপর দাঁড়িয়ে আপনি দেখছেন এই জীবনের কোলাজ। কিন্তু যে বাতাস আসে তাও যেন স্টার কাবাবের কয়লার উনুন থেকে উড়ে আসছে। এমন তপ্ত বাতাসের মৌশুম একবার এসেছিল খলিফা উমারের (রাদিয়াল্লাহু আনহু) সময়। তপ্ত বাতাস আর দুর্ভিক্ষের সেই মৌশুমকে সাহাবিরা নাম দিয়েছিলেন ‘আমুর রামাদ’- the year of ashes। কয়লা পুড়ে তৈরি হওয়া ছাই যে বাতাস উড়িয়ে নিয়ে যায় তার সাথে মিলিয়েই এমন নামকরণ। দোরগোড়ায় এসে পড়া রোযার মাসের যে নাম, রামাদান- তার অর্থের সাথেও ওই শব্দটির মিল আছে। সালাফরা কেউ কেউ বলেন, গুনাহ পুড়িয়ে ছাই করে দেওয়ারই এই মাস রামাদান।
আরেক ঝাপটা তপ্ত বাতাস আপনার চিন্তার গতিপথ পালটে দেয়। কেউ কি আছে, এই গরমে বসে ভাবছে রামাদানের কথা? ভাবছে রামাদান নিয়ে আসবে আল্লাহর রহমতের বাতাস? জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেওয়া এই মাস, শয়তানকে বন্দি করে ফেলা এই মাসে হঠাৎ কী করে সহজ হয়ে যায় দিনমান না খেয়ে থাকা? কী আছে এই মাসে? কী নিয়ে আসে এই মাস? কী দিয়ে যায় এই মাস? নাকি টাচস্ক্রিনে ইফতার প্যাকেজ আর সেহরি নাইটসের রিভিউ খুঁজে বেড়ানোতেই কেটে যায় মাস? শপিং এর চিন্তা, শপিং এর যোগান দেওয়ার চিন্তায়ই কি হুট করে এসে যায় ঈদ? রামাদান আসে, রামাদান যায়। অন্তরে সেই শীতলতা আসে কি যা খাব্বাবকে কয়লায় পিঠ দিতে, বিলালকে তপ্ত বালুতে পিঠ দিতেও দ্বিধায় ফেলেনি? (রাদিয়াল্লাহু আনহুমা)
ঘড়ি নিরলস এগিয়ে যায়। জীবনকে এগিয়ে নিতে আপনিও চিন্তার জগত থেকে ফিরে এসে তপ্ত বাতাস মুখে মেখেই ভাবলেশহীন হয়ে ওভারব্রিজ ছেড়ে যান। দুনিয়া আখিরাতের রব্ব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলার পাঠানো উপহার রামাদান ধুলিমলিন হয়ে কোনোক্রমে পাশ কাটিয়ে যায় আমাদের জীবন। ওভারব্রিজ থেকে দেখা এই কোলাজটাকে শীতল করতে, ভাবলেশহীন মুখগুলোতে জান্নাত আর আল্লাহর রহমতের আশায় ঢেউ খেলিয়ে দিতে রেইনড্রপস এই রামাদানে ঝেড়ে মুছে আপনাদের কাছে তুলে ধরতে চায় এই ধূলিমলিন উপহার। যেন রামাদান নামের উপহার প্রাপ্তির আসন্ন আশায় নেচে উঠে প্রতিটি হৃদয়। অন্তরের আকুলতায় অনায়াসে ভুলে যায় আবহাওয়ার হিসাব নিকাশ। কাজের ফাঁকে চট করে আমাদের এই সিরিজ পড়ে নিয়ে এই ধূলিমলিন উপহারকে নতুন করে বুঝে নিতে আপনি প্রস্তুত তো?”