বিবর্তনের পথ ধরে



Note: If you encounter any issues while opening the Download PDF button, please utilize the online read button to access the complete book page.
Size | 23 MB (23,082 KB) |
---|---|
Format | |
Downloaded | 612 times |
Status | Available |
Last checked | 10 Hour ago! |
Author | Bonya Ahmed |
“Book Descriptions: বন্যা আহমেদ বিজ্ঞানের আধুনিকতম শাখাগুলো থেকে পাওয়া তথ্যের আলোকে বিবর্তনের মূল বিষয়গুলো নিয়ে খুব সহজ ভাষায় বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। প্রাণের উদ্ভবের পর থেকে এ পৃথিবীতে জীবনের বিকাশ ও বিবর্তন কীভাবে নিরন্তর ঘটে চলেছে, কীভাবে উত্তরণ ঘটছে মানুষের মতো বোধশক্তি এবং সচেতনতাসম্পন্ন একটি প্রজাতির- এ সুবিস্তৃত কাহিনীর স্বার্থক মঞ্চায়ন যেন ঘটেছে বইটির পাতায় পাতায়। প্রাসঙ্গিকভাবেই চলে এসেছে মহাদেশীয় সঞ্চরণ, ল্যামার্কীয় ভ্রান্ত ধারণা, ডারউইনের সমুদ্রযাত্রা গ্যালাপ্যাগাস দ্বীপের পাখি, পৌরাণিক দৈত্য সাইক্লোপস, বিশালবপু তিমি মাছদের ডাঙা থেকে পানিতে ফিরে যাওয়া, ডিএনএর রহস্যভেদ ফ্লোরস দ্বীপের বেঁটে বাটুল, ডানাওয়ালা ডাইনোসরের ফসিল পাওয়ার কাহিনীসহ নানা ধরনের আকর্ষনীয় এবং বৈচিত্রময় গল্প। বইটির সাবলীল ভাষা এবং সহজবোধ্য উদাহরণ ও ব্যাখ্যাগুলো ইতোমধ্যেই ইন্টারনেটে সমাদৃত হয়েছে, আকৃষ্ট করেছে সে সমস্ত পাঠককেও যারা কখনোই বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন না। বহু বিদগ্ধজনের মতেই, বাংলায় বিবর্তনের ওপরে এমন ‘স্টেট অব দি আর্ট’ বই এর আগে লেখা হয় নি।
বন্যা আহমেদ অত্যন্ত কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছেন ‘জ্ঞান-বিজ্ঞানের সূতিকাগার’ হিসেবে কথিত আমেরিকায় এই শক্তিশালী মৌলবাদীদের উত্থান, তাদের সুচতুর অপপ্রচার এবং তার পাশাপাশি বিজ্ঞানী ও সমাজসচেতন প্রগতিশীল মানুষের সংগ্রামকে। বাংলায় লেখা এটাই বোধহয় প্রথম বই যেখানে এই মতবাদ প্রবক্তাদের উত্থান ও বিস্তৃতির ইতিহাস এবং তাদের দেওয়া ‘যুক্তি’গুলোর অসারতা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বিবর্তনের জটিল বিষয়গুলো নিয়ে তার সুললিত বর্ণনা এবং সহজবোধ্য ব্যাখ্যা যেমনি আগ্রহী করবে সাধারণ পাঠকদের বিবর্তন তত্ত্বের প্রতি, তেমনি তারা শিহরিত হয়ে উঠবেন সৃষ্টিতত্ত্ব বনাম বিবর্তনের সম্মুখলড়াই প্রত্যক্ষ করে। তাঁর বইটি হয়ে উঠতে পারে প্রতিটি বিজ্ঞানমনস্ক পাঠকের অবশ্যপাঠ্য গাইড; এটি কাজ করবে সচেতন ও প্রগতিশীল মনন তৈরির দর্শন হিসেবে।
বন্যা আহমেদ বড় হয়েছেন বাংলাদেশের আলো-হাওয়ায়। একজন সচেতন প্রগতিশীল মানুষ হিসেবে কাটিয়েছেন জীবনের বড় একটি অংশ এই দেশে। তারপর পড়ালেখা করছেন আমেরিকার মিনেসোটা স্টেট ইউনিভাসিটিতে জৈব প্রযুক্তি এবং কম্পিউটার বিজ্ঞানে। বর্তমানে আটলান্টায় সিস্টেম এনালিস্ট হিসেবে কর্মরত। তাঁর লেখা বিভিন্ন বিজ্ঞানবিষয়ক প্রবন্ধ ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে দৈনিক ভোরের কাগজ, দৈনিক সমকাল, সাপ্তাহিক বিচিত্রা ও মাসিক সায়েন্স ওয়ার্ল্ডসহ অনেক পত্র-পত্রিকায়।”