“Book Descriptions: আজ রাতে হঠাৎ করেই প্রচন্ড গরম পড়েছে। চারপাশটা কেমন স্থির, নিস্পন্দন। কোথাও গাছের পাতা অব্দিও নড়ছে না। যেন প্রলয়ঙ্করী কোনো ঝড়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকৃতি। মারুফ খানিকটা সরে এলো তানিয়ার কাছে। তানিয়া প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বলল, ‘আমার খুব ভয় করছে মারুফ’। মারুফ অবাক গলায় বলল, ‘ভয়!’ ‘হুম’। ‘কিসের ভয়?’ ‘আমি জানি না মারুফ। কিন্তু আমার প্রচণ্ড ভয় করছে। আমি তোমাকে বোঝাতে পারব না’। ‘ধুর বোকা। এখানে ভয় কিসের?’ তানিয়ার মুখ শুকিয়ে গেছে। সে শুকনো গলায় বলল, ‘আমি জানি না। কিন্তু আমি টের পাচ্ছি, কোনো একটা ভয়াবহ বিপদ ঘটতে যাচ্ছে’। ‘কিসের বিপদ?’ ‘আমি জানি না। কিন্তু সত্যি বলছি। ভয়াবহ কোনো বিপদ’। মারুফের আচমকা মনে হলো তানিয়া যা বলছে তা সত্য। তানিয়ার ভয়টাকে আর অমূলক বা হেসে উড়িয়ে দেয়ার মতো কোনো বিষয় মনে হচ্ছে না তার কাছে। বরং মনে হচ্ছে অমোঘ কোনো সত্য। সে ঘাড় ঘুরিয়ে চারপাশে তাকালো। মাথার ওপর দুটো আমগাছের ডাল কেমন অশরীরী উপস্থিতির মতো ছড়িয়ে আছে। একটা বাঁদুর বা অন্য কোনো নিশাচর পাখির ডানা ঝাপটানোর শব্দে আচমকা কেঁপে উঠল চারপাশ। ভেঙে খানখান হয়ে গেল রাতের নৈঃশব্দ্য। সেই শব্দে কেঁপে উঠল তানিয়াও। সে দুহাতে শক্ত করে জড়িয়ে ধরল মারুফকে। তারপর মারুফের কানের কাছে মুখ নিয়ে ভয়ার্ত কণ্ঠে বলল, ‘আমি আর এখানে থাকব না মারুফ। এক মুহূর্তও না’।” DRIVE