“Book Descriptions: ৮ম শতাব্দিতে ইয়েমেনী কবি আব্দুল আল হযরত আল আফিফ নামে একটি বই লিখেছিল। রাতের বেলা যেসব পোকামাকড়ের আওয়াজ শোনা যায় তাকেই আরবি ভাষায় বলে আল আযিফ। অনেকে এটাকে প্রেতাত্মাদের বিলাপ বলেও মনে করে। এ কিতাব লিখতে গিয়ে আল হযরতকে হাজার বার বাজি ধরতে হয়েছে নিজের জীবনকেই। তাকে ঘুরতে হয়েছে-বহুকাল আগে হারিয়ে যাওয়া অভিশপ্ত নগরী বাবেলের ধ্বংসস্তূপ, আদ্যিকালের রহস্যময় নগরী মেম্ফিসের মাটির তলে নিকশ অন্ধকারে ঢাকা শীতল গলি-ঘুপচি আর দক্ষিণ আরবের মরুভূমি রাব আল খালি'র বালিয়াড়িতে, যাকে ওদেশের লোকেরা বলে দাহনা বা রক্তিম মরু। নিঃশব্দে ঢাকা ভয়াল এই মরুভূমিতে জন-প্রাণির কোনো চিহ্ন নেই। এখানে নিরন্তর দাপিয়ে বেড়ায় মৃত্যু আর অশরীরী প্রেতাত্মার দল। ভাগ্যচক্রে ওখানে গিয়ে হাজির হয় আল হযরত। জ্ঞান অর্জনের নামে জড়িয়ে পড়ে সম্পূর্ণ অজানা এক শক্তির সঙ্গে। অমোঘ ও ভয়ঙ্কর এ শক্তির উৎস অন্য ভুবনে। কোনোমতে জান বাঁচিয়ে আল হযরত ওখান থেকে ফিরতে পারলো ঠিকই, তবে পুরোপুরি বদলে গেলো সে। তার অবয়ব ঘিরে থাকে এমন কিছু, যা মানুষ জানলেও ভুলে যেতে চায়।
এ ঘটনার অনেক পরে, আমেরিকান লেখক এইচ পি লাভক্র্যাফট হারিয়ে যাওয়া এই বইটিকে ইতিহাসের তলা থেকে আবারও বের করে আনেন। নাম দেন দ্য নেক্রোনমিকন। আর তখন থেকেই জেগে ওঠে কৌতূহল-এই বই কি শুধুই কল্পনা? নাকি এর পাতায় পাতায় লুকিয়ে আছে মৃত্যু-পরবর্তী জীবনের রহস্য, জাদুবিদ্যার গোপন সূত্র আর প্রাচীন দেবতাদের পুনর্জাগরণের আহ্বান?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেই ঘটনাপটে আসে কুষ্টিয়ার এক হাইস্কুল মাস্টার দীনবন্ধু। একদিন হঠাৎ করে হাতে পেয়ে যায় সেই কিতাবের একটি নকল। পাশে ছিল তার ব্যবসায়ী বন্ধুর সঙ্গী মতলব ধাড়ি, যে আগেই তাকে সাবধান করে দিয়েছিল-ওটা যেন না খোলে সে, কারণ ওটা কোনো বই নয়, বরং মৃত্যুর চিঠি। কিন্তু সাবধানবাণী না মানা এক কৌতূহলী মন কখনোই চুপ করে থাকে না। এভাবেই শুরু হয় এক ভয়ংকর যাত্রা-যেখানে বাস্তব আর বিভ্রম মিশে যায়, অতীত আর বর্তমান এক সুতোয় বাঁধা পড়ে আর একখানা পুরনো কিতাব হয়ে ওঠে নিয়তির ফাঁদ। আপনার কাছেও যদি এই কিতাব এসে পড়ে-তবে জেনে রাখুন, প্রতিটি পৃষ্ঠা একেকটা দরজা। আর একবার খুললে, ফিরে যাওয়ার পথ নেই।” DRIVE