“Book Descriptions: ‘লোটা-কম্বলের’ প্রথম পর্ব শেষ হওয়া মাত্রই ‘দেশ’-এর দপ্তরে আসতে শুরু করেছিল দ্বিতীয় পর্বের জন্য অসংখ্য অনুরোধ। তারই ফলশ্রুতিরূপে এই নব পর্বে প্রাপ্তি ঘটে পূর্বের মতোই আত্মজীবনীর মাত্রায় রচিত হয়েও ভিন্ন-স্বাদের বিচিত্র-মধুর একটি উপন্যাস। রঙ্গে-ব্যঙ্গে, বিরহ-মিলনে, প্রেয়-শ্রেয়ের ঐকতানে এই পর্ব যেন হয়ে উঠেছে নান্দনিক নবরসে তরঙ্গায়িত এক মূৰ্ছনা। দ্বিতীয় পর্বের সূচনায় এক দার্শনিক অভিব্যক্তিতে ‘আমি’র আবির্ভাব। …উদাসীন পৃথিবীতে, জগৎ যেমন চলার চলছিল—তারই মাঝে চলমান সে হঠাৎ নিজেকে আবিষ্কার করলো, ‘আমি যেন অন্য জগতের মানুষ, এইমাত্র পৃথিবীতে বেড়াতে এসেছি’... আদর্শ ব্রতী নিরুদ্দিষ্ট পিতাকে এক কঠিন মুহূর্তে ফিরে পেলেও নিজেকে খুঁজে পেতে তাকে হাত বাড়াতে হয়েছে একদা-বান্ধবী মুকুর দিকেই। নতুন মূল্য বোধ নিয়ে এসে দাঁড়িয়েছে মুকু। রূপসী মুকুর রক্তমাংসের শরীরটার লাবণ্য ভেদ করে ক্রমেই প্রকটিত হয়ে পড়েছে আর এক মুকু—নারীর সুষমা আর দৃঢ় তার পৌরুষ যোগে অনবগুণ্ঠিতা এক মানবী। পৈত্রিক বাস্তববোধের বাতাবরণে প্রেমিকার নবানুরাগের স্রোতে এক অভিনব মাত্রায় যেভাবে সংযোজিত হয়েছে সূর্যালোকের মতো ছোটদাদুর আধ্যাত্মিক প্রভাব, তা লক্ষ্য করলে সত্যিই বিস্ময়াবিষ্ট হতে হয়। …এ এক অন্তর্মুখী পরিব্রাজন …অদ্ভুত এক ব্যঞ্জনায় হঠাৎ নজরে আসে যে কথা-সাহিত্যিক সঞ্জীব চিত্র শিল্পী হয়ে গেছেন। লোটাকম্বল তখন হয়ে যায় অগণিত চরিত্রের বহুবর্ণরঞ্জিত একটা বিরাট ক্যানভাস—তাতে ফ্রেম নেই। ফ্রেমের দায় পাঠক-মানসে—যেখানে স্বতঃস্পন্দনে ক্রমেই চিত্রায়িত হয়ে উঠতে থাকে উত্তরণের আহ্বানে অসীমের ইঙ্গিত—নতুন এক জীবন বোধের অপেক্ষমানতায়।” DRIVE