“Book Descriptions: কানাভুলো সেই ভূত যে গ্রাম বাংলায় রাত-বিরেতে পথিককে পথ হারিয়ে বার বার একই জায়গায় ঘুরপাক খাওয়ায়। মজার বিষয় হলো, বাঙালি যে সব ভূত দেখে ভয় পায়, তাদের সবার আকৃতি কল্পনা করে নেয় মনের মধ্যে। যেমন শাঁকচুন্নি, স্কন্ধকাটা, মেছোভূত, গেছোভূত, পেত্নি, ব্রহ্মদৈত্য। কানাভুলোই বোধহয় একমাত্র ভূত, যার আকার-আকৃতি, চেহারা-সুরত অজানা। সে যাই হোক, এই গল্প হয়তো কানাভুলোর নয়। গল্পটি এক নবদম্পতির। তারা হানিমুনে যাবে, কক্সাবাজারে। দেশব্যাপী তখন মহামারীর প্রকোপ। হুটহাট লকডাউন ঘোষণা হচ্ছে। এমনই এক লকডাউনের মধ্যে হানিমুনে গেল ওরা। হোটেল বন্ধ যেহেতু, তাই কিছুদিনের জন্য ভাড়া নিল এক প্রবাসী ভদ্রলোকের বানানো বিশাল বাংলো। সাথেই লাগোয়া সৈকত। জায়গাটা যেমন নির্জন, তেমন রহস্যময়। চাঁদনী রাতে, জনশূন্য সৈকতে হাত ধরাধরি করে চাঁদের আলোয় ভিজতে ভিজতে যখন কপোত-কপোতী দুজন নিজেদের ভেতর ভীষণ ডুবেছিল, ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি যে তারা একা নয় ওখানে। তাদের সঙ্গে ছিল চাঁদ ঢেকে দেওয়া এক গুচ্ছ অপ্রাকৃতিক মেঘ, সমুদ্রের জলে ওঠা খানিক ঘূর্ণন, কিংবা একটি অসংজ্ঞায়িত অস্তিত্ব– ‘কানাভুলো’। এরপর হুট করেই… বাকীটা কিনে পড়ুন।” DRIVE