কাছের মানুষ



Note: If you encounter any issues while opening the Download PDF button, please utilize the online read button to access the complete book page.
Size | 24 MB (24,083 KB) |
---|---|
Format | |
Downloaded | 626 times |
Status | Available |
Last checked | 11 Hour ago! |
Author | Suchitra Bhattacharya |
“Book Descriptions: নিজের প্রয়ােজনের কথা ভেবে, নিজের সুখ-সমৃদ্ধি-চাহিদার কথা মাথায় রেখে দলবদ্ধ হয়েছে মানুষ। গড়েছে সমাজ, নির্মাণ করেছে পরিবার, অসংখ্য ধরা-অধরা সম্পর্কের সুতােয় জড়িয়ে নিয়েছে নিজেকে। চিরকাল মানুষ বিশ্বাস করতে চেয়েছে সে পরিবারের মধ্যে, দলের মধ্যে, সমাজের মধ্যে বেঁচে থাকতে চায়, সঙ্গীহীন জীবন যেন বৃথা। অথচ কী আশ্চর্য, প্রতিটি মানুষই কিন্তু মূলত একা। একাই আজীবন। জীবনের প্রতিটি স্তরে তার ভিন্ন ভিন্ন নামের সহযাত্রী জোটে বটে, কিন্তু তাতে হৃদয়ের নির্জনতা ঘােচে না। এই উপন্যাস সেই নির্জনতারই অনুসন্ধান।
এই বৃহৎ উপন্যাসের চালচিত্র সমসময়, পটভুমি সমসাময়িক সমাজ। এর আখ্যানভাগের একদিকে রয়েছে এ-যুগের মা-মেয়ের গল্প, সফল মানুষের গোপন ব্যর্থতার কাহিনী, বিফল মানুশের সফল না হতে পারার আকুতি, নতুন প্রজন্মের আশা আকাঙ্খার গল্প, বর্তমান সমাজের অসহায়তা আর পাপবোধের কথা, ব্যর্থ বিপ্লবের যন্ত্রণা, দুই প্রজন্মের দ্বন্দ্ব। সঙ্গে প্রতীকের মতো সমান্তরাল ভাবে চলেছে একটা পুরনো বাড়ি ভেঙে নতুন বাড়ি গরে ওঠার উপাখ্যান। এই বাড়ি যেন সময়ের বিবেক, সময়ের মূল্যবোধ, সময়ের অনুশাসন। এর মধ্যে দিয়েই লেখক খুঁজতে চেয়েছেন মানুষের নিঃসঙ্গতার উৎস। আজকের আত্মকেন্দ্রিক আধুনিক সমাজই কি মানুষকে লক্ষ্যহীন উচ্চাশার দিকে তাড়িয়ে নিয়ে চলে? নাকি সেই চিরন্তন ষড়রিপু আবহমান কাল ধরে মানুষের মনে বুনে চলেছে একাকিত্বের বীজ?
এই উপন্যাস জুড়ে অজস্র চরিত্রের মিছিল। কেউ বা বৃদ্ধ, কেউ বা মধ্যবয়স্ক, কেউ কিশোর কিশোরী, তরুণ তরুণী, কেউ বা নেহাতই শিশু। ভিন্ন ভিন্ন প্রজন্মের মানুশ হওয়া সত্ত্বেও কোথায় যেন এরা অভিন্ন, এদের সকলের মধ্যেই চারিয়ে যাচ্ছে এক দুঃখী বিষন্নতা। কেন?
উপন্যাসের নামটিও ভারী ব্যঞ্জনাময়। গল্পের পাত্রপাত্রী সবই যেন আমাদে রতি পরিচিত, নিকটজন। অর্থাৎ কাছের মানুশ। আবার এই নিকটজনরা পরস্পরের খুব আপন হওয়া সত্ত্বেও সত্যিই কি কেউ কারও প্রকৃত কাছের মানুশ? এইসব জীবন্মুখী প্রশ্নের উত্তর প্রকীর্ণ আছে সুচিত্রা ভট্টাচার্যের এই উপন্যাসের পাতায় পাতায়।”